যুক্তরাষ্ট্র আবারও মহাকাশ-ভিত্তিক ইন্টারসেপ্টর উন্নয়নের দিকে ঝুঁকছে। যার অন্তর্ভুক্ত মহাশূন্যে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো পদ্ধতি। তবে এই উদ্যোগকে ঘিরে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
চীন অভিযোগ করেছে, এই ধরনের অস্ত্র মোতায়েন বিশ্বের কৌশলগত ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। মহাশূন্যকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করবে। একই সুরে রাশিয়া বলেছে, এ উদ্যোগ অত্যন্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
ওয়াশিংটনের যুক্তি মার্কিন ভূখণ্ডকে রক্ষা করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা জরুরি। কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পরও মহাশূন্যে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মৌলিক শারীরিক সীমাবদ্ধতা আজও বড় বাধা। তিন দশক আগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলোর বহু দিকই এখনো রয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন আগ্রহ মূলত সেই পুরনো বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত, যে প্রযুক্তি সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে। কিন্তু কৌশলগত বাস্তবতা এবং প্রতিরোধ তত্ত্ব বলছে ভিন্ন কথা।
তাদের মতে, ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ মহাকাশ-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বদলে সমন্বিত ও ভারসাম্যপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকাই দীর্ঘমেয়াদে অধিক স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে।
সূত্র: এশিয়া টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল