মালয়েশিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় দশ দিনের দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ)। এ পর্যন্ত মোট ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে ১৪ জনকে।
নভেম্বরের ৬ তারিখে থাইল্যান্ডের তারুতাও দ্বীপের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রায় ৭০ জন অবৈধ অভিবাসী ওই নৌকায় ছিল, যাদের অধিকাংশই মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য।
উত্তরাঞ্চলীয় কেদাহ ও পেরলিস রাজ্যের এমএমইএ কর্মকর্তা জায়নুদ্দিন মোহাম্মদ জুকি জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এলাকাজুড়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান, মোতায়েন করা সম্পদ এবং সময়কাল বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তবে নতুন কোনো তথ্য হাতে এলে অভিযান পুনরায় চালু করা হবে।
গত কয়েক দিনে মালয়েশিয়ার উদ্ধারকারী দল ২৯ জনের এবং থাই দল ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এমএমইএ’র কেদাহ ও পেরলিসের পরিচালক রোমলি মুস্তাফা নিশ্চিত করেন, সোমবার পর্যন্ত দুই দেশের উদ্ধারকারী দল মোট ৩৬ জনের দেহ খুঁজে পেয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন, সবাইকে মালয়েশিয়ার জলসীমায় বিভিন্ন সময়ে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনুসন্ধান অভিযানে অংশ নেয় অন্তত ১৯টি জাহাজ এবং ৩০০-র বেশি উদ্ধারকর্মী। মোট ১,৭৫০ বর্গ নটিক্যাল মাইল এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়, যা সিঙ্গাপুরের আয়তনের প্রায় আট গুণ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুবে যাওয়া নৌকাটি ছিল একটি বৃহত্তর অভিবাসী দলের অংশ, যারা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। অন্তত আরও একটি নৌকা এখনো নিখোঁজ বলে মালয়েশিয়ান পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল