আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট ম্যাচ সিরিজ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নয়, বাইলেটারাল। দুই দেশের টেস্ট সিরিজকে আড়ালে ফেলে সব ফোকাস কেড়ে নিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সি মুশফিকুর রহিম। অফিশিয়ালি না হলেও সিরিজটিকে বলা হচ্ছে মুশফিকের সিরিজ। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক সিলেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ৯৯তম টেস্ট। এবার মিরপুরে খেলবেন ১০০তম টেস্ট। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক ১০০ টেস্ট ক্লাবের সদস্য হবেন। মুশফিকের শততম টেস্ট দিয়ে ১৩ মাস পর টেস্ট অ্যারিনায় ফিরছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এ মাঠে সর্বশেষ টেস্ট হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টটি টাইগাররা হেরেছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালের এপ্রিলে টেস্টটি ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। এখানে প্রথম টেস্ট হয়েছিল ২০০৭ সালের মে মাসে ভারতের বিপক্ষে।
মিরপুরে এখন পর্যন্ত ২৮টি টেস্ট হয়েছে। সবগুলো খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি। হেরেছে ১৭টি এবং ড্র ৩। এখানে টাইগাররা হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একবার করে এবং তিনবার জিম্বাবুয়েকে। বাংলাদেশ দুবার ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে এবং জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে। রানের হিসেবে এ মাঠের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। ২০২৩ সালে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল ৫৪৬ রানের আকাশছোঁয়া ব্যবধানে। অস্টেলিয়াকে ২০ রানে, ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানে, ৫৪৬ রানে আফগানিস্তান ও ২১৮ রানে জিম্বাবুয়েকে হারায়। এ ছাড়া ৭ উইকেটে আয়ারল্যান্ড ও ৩ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে। মাঠের দলগত সর্বোচ্চ স্কোর শ্রীলঙ্কার, ২০১৪ সালে ৬ উইকেটে ৭৩০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশের দলগত সর্বোচ্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে, ৬ উইকেটে ৫৬০ রান। এ মাঠে তিনবার ৫০০-উর্ধ্ব স্কোর করেছে টাইগাররা। সর্বনিম্ন স্কোর বাংলাদেশের, ৮৭, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০২১ সালে।
মুশফিকের পয়মন্ত ভেন্যু মিরপুর। ৯৯ টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। যার ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি। দুটিই আবার মিরপুরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৯* ও ২০৩*। এ মাঠে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিকের ২৭ টেস্টের ৪৯ ইনিংসে ১৮৫৫। সবচেয়ে বেশি উইকেট বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। ১৮ টেস্টে বাঁ-হাতি স্পিনারের উইকেট ৮২টি। সেরা বোলিংও তাইজুলের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার স্পেল ১৬.৫-৭-৩৯-৮। পাকিস্তানের সাজিদ খানও ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ৪২ রানের খরচে।