বকফুল সুপরিচিত গ্রামীণ গাছ হলেও আজকাল নগরায়ণের প্রভাবে দিনদিন হারিয়ে যেতে বসেছে। গাছটির ফুল সবজি হিসেবে অনেকেরই প্রিয়। এ ছাড়া এই ফুল মিষ্টি কুমড়ার ফুলের মতো বড়া হিসেবে ভেজে খাওয়া হয়। বকের মতো সাদা রং আর বকের
ঠোঁটের মতো ফুলের বাঁকা পাপড়ির জন্যই নামটি বকফুল। যখন পাখির পালকের মতো সবুজ পাতার ফাঁকে ফোটে তখন সহজে চোখ ফেরানো যায় না। রংপুর মহানগরীর বোতলাপাড়া এলাকার জাপানি বাড়িখ্যাত ‘নিন হো’তে শনিবার বিকালে ফুলসহ গাছটি চোখে পড়ে। বাংলা একাডেমির সহপরিচালক এবং রংপুরের মিঠাপুকুর পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, গাছটির ডালপালা সরল এবং বাকলের রং বাদামি বর্ণের। সারা বছর ফুটলেও শীতকালে বেশি ফোটে। ফুলের আকৃতি অনেকটাই পলাশ ফুলের মতো। সাদা, হালকা গোলাপি এবং লাল রঙের ফুল হয়ে থাকে। সাধারণত বীজ থেকে চারা হয়। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যেই গাছে ফুল ধরে। মাঝারি থেকে একটু উঁচুও হয় গাছ। ফল দেখতে শজিনার ডাঁটার মতো। লেগুমিনসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত খুব নরম প্রকৃতির গাছ। গাছটি মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে।