ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত ১০ নভেম্বর আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দু’জন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জন মারা যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত অনেকে এখনও চিকিৎসাধীন।
এদিকে, ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) রবিবার আরও এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেফতার করেছে। তিনি হলেন কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কাজিগুন্ডের বাসিন্দা কাসির বিলাল ওয়ানি। তিনি গাড়ি বিস্ফোরণের আগে ড্রোন পরিবর্তন ও রকেট তৈরির মাধ্যমে হামলায় প্রযুক্তিগত সহায়তা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এনআইএ সূত্র বলছে, ওয়ানি ছিলেন হামলাকারী উমর নবির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি বিস্ফোরণের পরিকল্পনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং উমর নবির সঙ্গে কৌশলগত সমন্বয় করতেন। ওয়ানিকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির মালিক আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও কাশ্মীরের বাসিন্দা।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো গাড়ির চালক হিসেবে উমর নবিকে শনাক্ত করা হয়েছে। উমর পুলওয়ামার বাসিন্দা ও ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তদন্তে আরও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে, যা উমর নবির মালিকানাধীন।
এনআইএ দিল্লি পুলিশ, কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, উত্তর প্রদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ভারতজুড়ে তদন্ত চালাচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, পিটিআই, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিডি প্রতিদিন/একেএ