সোমবার ফ্রান্সে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি চূড়ান্ত করবেন।
রুশ হামলা দ্রুতই বাড়তে থাকায় ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোই এই সফরের মূল লক্ষ্য।
ভিলাকুবলে বিমানঘাঁটিতে পৌঁছালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান।
জেলেনস্কি যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রবিবার জানান, ফ্রান্সের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক সামরিক বিমান চুক্তি প্রস্তুত রয়েছে, যা ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।
ফরাসি সরকার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। যদিও ফ্রান্স রাজনৈতিক ও বাজেট সংকটে রয়েছে, তবুও ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থন দেওয়ার পথ খোঁজা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এ সফরে ইউক্রেনের জন্য আরও বড় ঘোষণা আসতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-রাফাল মাল্টিরোল জেট সরবরাহের ইঙ্গিত, ১০ বছরের কৌশলগত বিমানচুক্তি, অ্যাস্টার৩০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, অতিরিক্ত মিরেজ যুদ্ধবিমান। ভিলাকুবলে ঘাঁটিতে ফরাসি ও ইউক্রেনীয় পতাকার সামনে একটি রাফাল জেট প্রদর্শনেও রাখা হয়েছে।
ভবিষ্যতে ইউক্রেন ২৫০ যুদ্ধবিমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বহর গঠনের পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে থাকবে-মার্কিন এফ-১৬, সুইডিশ গ্রিপেন এবং সম্ভাব্য ফরাসি রাফায়েল। এ ধরনের উন্নত যুদ্ধবিমান চালাতে ইউক্রেনীয় পাইলটদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে।
রাশিয়া সম্প্রতি জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি দাবি করেছে এবং একই সময়ে ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে- ফলে ফরাসি সহায়তার প্রশ্নটি আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ