শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন ঝিনাইদহের শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবু বকর সিদ্দিক (৬৫) ও মা হাফিজা খাতুন (৫৭)। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার বিকেলে এ দাবি জানান তারা।
রাকিবুলের মা হাফিজা খাতুন বলেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে আজ সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শহীদের মা হিসেবে আমি আজ আংশিক সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আমি যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারি।
রাকিবুলের বাবা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। আজ আমরা খুশি। শেখ হাসিনা বহু মায়ের বুক খালি করেছে। একজন নারী হয়েও সে কীভাবে এত মায়ের সন্তানকে হত্যার আদেশ দিয়েছে, তা আমরা ভেবে পাই না।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন প্রসিকিউশন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল হোসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তার পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি