জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার বিচারের রায় পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত এনে এ রায় কার্যকর করতে হবে। আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ও আমরা কার্যকর চাই।’ রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এই যে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরবর্তী মামলাগুলোর রায় দিতে হবে এবং তা কার্যকর করতে হবে। যারা জেলে আছেন, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের রায় কার্যকর হোক।’
মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার-আখতার হোসেন : এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। কেবল এ মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’ সরকারের কাছে অতিদ্রুত এ রায় কার্যকরের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে একটা নজির তৈরি হবে।’
আখতার বলেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাই, খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। তাকে ভারতে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার কাছে তারা সোপর্দ করবে।’
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঐতিহাসিক বিজয়-সামান্তা : এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলুম ও অপশাসনের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি জনগণের ঐতিহাসিক জয়। আমরা এ রায়কে সাধুবাদ জানাই।’ তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের উচিত হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসা।’ সামান্তা বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা মনে করেন তারা অজেয়। কিন্তু এ রায় ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচারের মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত গতকাল দুপুরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের ঘোষণা দেন। মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।