২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশ থেকে মোট ৩২টি দল নিশ্চিত হয়েছে। ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর-মধ্য আমেরিকা এবং ওশেনিয়া মিলিয়ে ধীরে ধীরে পূর্ণতা পাচ্ছে ৪৮ দলের এ প্রতিযোগিতা। এ তালিকায় এখন যুক্ত হচ্ছে ইউরোপ অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো। উয়েফার বাছাইপর্ব থেকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়ার পর বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল ও নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে। রবিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী ইতালি ও ১৯৯৮ সালে শেষবার বিশ্বকাপে খেলা নরওয়ে। ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে নরওয়ের বিপক্ষে ৯ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। উল্টো হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। ফলে ২৭ বছর পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ ১৬ গোলদাতা আর্লিং হলান্ডের নরওয়ে। ম্যাচে জোড়া গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির এ তারকা। বাছাইয়ে আট ম্যাচে শতভাগ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের শীর্ষে তারা। ১৯৯৮ সালে শেষবার যখন দেশটি বিশ্বকাপে খেলেছিল তখন ওই দলে ছিলেন হলান্ডের বাবা আলফ ইগনে হলান্ড। এবার বিশ্বকাপে তার ছেলের দিকে সবার চোখ রাখতেই হবে বলেছেন কোচ সোলবাকেন। এবারের মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে যত ম্যাচ খেলেছেন তার থেকে বেশি গোল করেছেন ২৫ বছর বয়সি হলান্ড। অন্যদিকে আট ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালিকে টানা তৃতীয়বারের মতো প্লে-অফের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। আগের দুই আসরে প্লে-অফে ব্যর্থ হয়েছিল ইতালি। ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ের পরের দুই আসরে তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে। ফলে তাদের সামনে এখন টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারার শঙ্কা। তা এড়াতে জিততেই হবে মার্চের প্লে-অফ পর্বে। এ ছাড়া বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের। এখনো ইউরোপ, কনক্যাকাফ ও প্লে-অফ থেকে বাকি দলগুলো নির্ধারণ হবে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সবার আগে জায়গা নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বাছাইজুড়ে চাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত টিকিট পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও।