চীনে অবস্থানরত জাপানি নাগরিকদের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে টোকিও।
জাপানি দূতাবাস সোমবার এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেশি লোকসমাগমের স্থান বা জাপানিদের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার সম্ভাব্য স্থান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। পরামর্শটি জারি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচির তাইওয়ান বিষয়ে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।
জাপানের মুখপাত্র মিনোরু কিহারা বলেছেন, এটি প্রাসঙ্গিক দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সামাজিক অবস্থার সম্পূর্ণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে জারি করা হয়েছে।
তাইওয়ানকে নিজের অংশ দাবি করে আসছে চীন। দখলে নিতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের কথাও বলেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। একই সঙ্গে তাকাইচির মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তার মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি করেছে এবং শুক্রবার জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে চীন। ওসাকায় চীনের কনসুল জেনারেল সিউ জিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকাইচিকে লক্ষ্য করে হুমকি দিয়েছিলেন।
পরে জাপান চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। টোকিও থেকে আসা পরামর্শে নাগরিকদের স্থানীয় রীতিনীতি মানতে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা ও আচরণে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ওদিকে জাপানের শেয়ারবাজার মঙ্গলবার শতকরা ৩ ভাগ পড়ে গেছে। কারণ কূটনৈতিক উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছে। চীনের নাগরিকদের জাপান থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়ার পর পর্যটন ও খুচরা শেয়ারগুলোর দাম সোমবার হু হু করে কমে গেছে। চীনের অর্থনীতির সঙ্গে জাপানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন চীনা পর্যটক জাপান সফর করেন। তাকাইচি অক্টোবরে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। পূর্বে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ৭ নভেম্বর পার্লামেন্টে বলেন, যদি তাইওয়ানের জরুরি পরিস্থিতিতে যুদ্ধজাহাজ এবং বলপ্রয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে তা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। জাপানের নিজস্ব আইন অনুযায়ী, অস্তিত্বহানির মতো হুমকির পরিস্থিতিতে দেশের সীমিত সামরিক পদক্ষেপের অধিকার রয়েছে। সূত্র: ফ্রান্স২৪, সিএনএ, আরব নিউজ, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ