হকির যে কোনো বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে বাংলাদেশ। তাই দেশ ছাড়ার সময় তা হবে আনন্দময়। এমন প্রত্যাশা করাটা কি অস্বাভাবিক কিছু ছিল। অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপ খেলতে গতকাল বাংলাদেশ দল ঢাকা ছেড়েছে। ভারতের চেন্নাইয়ে পৌঁছেও গেছেন খেলোয়াড়রা। ২৮ নভেম্বর থেকে চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে যুবাদের বিশ্বসেরা এ আসর অনুষ্ঠিত হবে। যা শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। ২৪ দেশের মধ্যে এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘এফ’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্স। শক্তির বিচারে বাংলাদেশের যুবারা এত পিছিয়ে যে, কোনো ম্যাচ জেতা হয়তো সম্ভব নয়। পজিশন কোথায় দাঁড়ায় সেটাই প্রশ্ন।
জয় বা পরাজিত হোক তা খেলার বিষয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হকিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। যুবারাই এ বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। স্বপ্নের হকির লড়াইয়ে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছে তা কি উৎসবমুখর করা যেত না। হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলতে পারেন খেলোয়াড়দের জার্সি বিতরণ করা হয়েছে অনুষ্ঠান করে। ব্লেজার দেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের কোচ এনে ছেলেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকি তো কিছুই রাখিনি।
প্লেনে ওঠার আগে বিমানবন্দরে হাতে ফুল বা মিষ্টিমুখ করানো যেত না। এতটা গতানুগতিক যাত্রা ছিল যে, দেখে মনেই হয়নি ছেলেরা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা কি বোঝেন না বিশ্বকাপ আর টুর্নামেন্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যাত্রাটা যদি রাঙানো যেত তাহলে ছেলেরা আলাদা অনুভূতি নিয়েই ভারতে যেতে পারত।
যাক, বেশকিছু দিন আগেই ভারত পৌঁছে গেল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দল। মূল লড়াইয়ে নামার আগে চিলি ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা যুবাদের। যাওয়ার আগে অধিনায়ক মেহরাব হাসান সামিন বলেন, ‘প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলব। কী করব আগাম বলাটা ভুল হবে। তবে দলবদ্ধভাবে ভালো করার চেষ্টা করব।’