ভারতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন রায়ান উইলিয়ামস। কোচ খালিদ জামিল চেয়েছিলেন, প্রতিপক্ষের হামজা আতঙ্ক কাটাতে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই ফুটবলারের ভারতের জার্সিতে অভিষেক ঘটাবেন। ফরোয়ার্ড বলে চাপে রাখা যাবে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত কোচ খালিদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। গতকাল উইলিয়ামস দর্শক হয়েই হাইভোল্টেজ ম্যাচটি উপভোগ করেন। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ কমিশনারের কাছে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল দেওয়ার কথা থাকলেও ভারত গড়িমসি করে। অপেক্ষায় ছিল ফিফার ছাড়পত্র পাওয়ার। অস্ট্রেলিয়া অনুমতি দিলেও ফিফার কাছ থেকে উইলিয়ামসের ছাড়পত্র তখনো আসেনি। শেষ পর্যন্ত আর ছাড়পত্র আসেনি।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী হামজা, সামিত ও জায়ানরা বাংলাদেশে খেলছেন। একই প্রক্রিয়া উইলিয়ামসের বেলায়ও। ৬ মাস আগে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ত্যাগ করে ভারতীয় পাসপোর্ট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন উইলিয়ামস। তাঁর শেকড় মূলত ভারতেই। তার নানা লিংকন প্রোস্টেট ৫০-এর দশকে ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলেছিলেন। উইলিয়ামসের যমজ ভাই অ্যারিনও ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ভারতের আইলিগে খেলেন। উইলিয়ামস নিজেও ২০২৩ সাল থেকে খেলছেন। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার অনুমতি লাগবে। তা না মেলায় ২৫ হাজার দর্শকের মতো উইলিয়ামসকেও খেলা দেখতে হলো।