এই সপ্তাহে পৃথিবীর কাছ দিয়ে কয়েকটি গ্রহাণু অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে নাসা। এর মধ্যে দু’টি আকারে প্রায় বাসের সমান। তবে বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করে বলেছেন, এগুলো পৃথিবীর জন্য কোনো ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে না।
নাসার অধীনে থাকা সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS) জানিয়েছে, প্রথম গ্রহাণুটি হলো ২০২৫ ভি-পি-১। এর আকার প্রায় ৩৭ ফুট অর্থাৎ একটি বড় বাসের মতো। এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮ হাজার ৩০০ মাইল গতিতে পৃথিবির দিকেই এগোচ্ছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির হিসাব অনুযায়ী, গ্রহাণুটি মঙ্গলবার পৃথিবি থেকে প্রায় ৩ লাখ ৬১ হাজার মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে।
আরেকটি গ্রহাণু ২০২৫ ভি-সি-৪–এর আকারও প্রায় একই। সেটিও মঙ্গলবার পৃথিবীর কাছাকাছি দিয়ে যাবে, তবে দূরত্ব আরও বেশি—প্রায় ১২ লাখ ৪০ হাজার মাইল।
এই দু’টির পাশাপাশি নাসা নজর রাখছে আরও বড় একটি গ্রহাণুর ওপর। গ্রহাণুটির নাম ৩৩৬১ অরফিয়াস। এর ব্যাস প্রায় ১,৪০০ ফুট যা একটি বড় সেতুর সমান। এটি বুধবার পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে, গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ হাজার মাইল।
গ্রহাণুগুলো আসলে সূর্যজগতের সৃষ্টি–পরবর্তী অবশিষ্ট শিলাখণ্ড। বেশির ভাগ গ্রহাণু মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী বেল্টে থাকে। তবে কিছু গ্রহাণু সূর্যের কাছে এলে পৃথিবীর কক্ষপথের আশপাশে চলে আসে। এ ধরনের বস্তুগুলোকে বলা হয় নিয়ার–আর্থ অবজেক্ট যেগুলো সূর্য থেকে সর্বোচ্চ ১২ কোটি মাইল দূর পর্যন্ত ভ্রমণ করে।
কিছু গ্রহাণুকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ বলা হয় যেগুলোর আকার ৪৬০ ফুটের বেশি এবং পৃথিবীর কক্ষপথের ৪.৬ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আসতে পারে। তবে CNEOS–এর ব্যবস্থাপক পল চোডাস জানিয়েছেন, ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ মানে এই নয় যে গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হানবে। শত কিংবা হাজার বছরের মধ্যে এর কক্ষপথ সামান্য বদলাতে পারে—এ সম্ভাবনার জন্যই এ শ্রেণিবিন্যাস।
নাসা বলছে, এই সপ্তাহে যে গ্রহাণুগুলো অতিক্রম করবে, তার কোনোটিই পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল