নিজস্ব পরিশ্রম ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে পোনা মাছ চাষে দীর্ঘ সাফল্য ধরে রেখেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উদ্যোক্তা দিলদার খান। পোনা চাষে তিনি মাসে আয় করছেন লাখ টাকারও বেশি।
জানা যায়, দিলদার খানের খামারের পোনা স্থানীয় মৎস্যচাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিদের নিয়মিত চাহিদা মেটাচ্ছে তার উৎপাদিত পোনা। এ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর তিনি পেয়েছেন উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষী পুরস্কার।
বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামে অবস্থিত ‘দিগন্ত এগ্রো ফার্ম’-এ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বসতবাড়ির চারপাশজুড়ে রয়েছে ছোট-বড় একাধিক পুকুর। এসব পুকুরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছের পোনা, কিছু পুকুরে রয়েছে কার্প জাতীয় বড় মাছ। বাড়ির আঙিনা ও পুকুর পাড়ে দেখা যায় কলা, শসা ও আদা চাষের দৃশ্য। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন পুকুরে জাল টেনে পোনাগুলোর মান যাচাই করছিলেন খামারি দিলদার খান।
তিনি জানান, প্রবাসগমনের সুযোগ উপেক্ষা করে ২০০১ সাল থেকে মৎস্যচাষে যুক্ত হন তিনি। শুরু করেছিলেন মাত্র ১০ একর জমিতে বড় মাছ চাষের মাধ্যমে। ২০০৫ সাল থেকে মনোযোগ দেন পোনা উৎপাদনে। বর্তমানে তার খামারের বিস্তৃতি ৩৫ একরজুড়ে, যেখানে ১০টি পুকুরে দেশীয় কেটফিস, পাবদা, গুলসা ও পাঙ্গাসের পোনা উৎপাদন ও বিক্রি করা হয়। সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে রেণু সংগ্রহ করে মাত্র ২০ দিনের বিশেষ যত্নে বিক্রিযোগ্য পোনা তৈরি করেন তিনি। পাশাপাশি কার্প জাতীয় বড় মাছ চাষের পাশাপাশি চাষ করছেন কলা, আদা, শসা ও বোরো ধান।
দিলদার খান বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা জানা থাকলে বন্যা ছাড়া মাছ চাষে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ভবিষ্যতে সরাসরি ভোক্তার দোরগোড়ায় ফ্রেশ মাছ ও সবজি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার ধর বলেন, গুণগত মানসম্মত পোনা উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা দিলদার খানের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তার মতো আরও উদ্যোক্তা তৈরি হলে বিশ্বনাথসহ সারাদেশে মাছের উৎপাদন বাড়বে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ