সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আরও ছয় দেশ স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের আয়োজনে নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটায় শুরু হবে এক বিশেষ বিশ্ব সম্মেলন। সেখানেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে এসব দেশ।
এই ছয় দেশ হলো- ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনো ও অ্যান্ডোরা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগমুহূর্তে তারা এই স্বীকৃতির কথা ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলন বর্জন করছে।
ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত ড্যানি দানন একে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা মনে করি এটি কোনওভাবেই সহায়ক নয়, বরং সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার মতো।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এর জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসরায়েলের কিছু মন্ত্রী এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরের একটি অংশ দখল (অ্যানেক্সেশন) করার দাবি তুলছেন।
সৌদি আরব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পশ্চিম তীর দখলের কোনও পদক্ষেপ নিলে এর ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতও (ইউএই), যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে, এটিকে ‘রেড লাইন’ বলে অভিহিত করেছে।
মার্কিন প্রশাসন এসব স্বীকৃতিকে ‘নাটকীয়তা প্রদর্শন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জানিয়েছে তাদের মূল লক্ষ্য এখনও ইসরায়েলের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসমুক্ত টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন সময়ে, যখন গাজা শহরে ইসরায়েল স্থল অভিযান চালাচ্ছে এবং প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধে এখনও যুদ্ধবিরতির কোনও বাস্তব সম্ভাবনা দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো বলছে, এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, না হলে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ধারণা চিরতরে হারিয়ে যাবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/একেএ