ইসলামের নীতিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি কোনো মন্ত্রিত্ব বা এমপিত্বের জন্য নয়, আমাদের লক্ষ্য এই দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। আর এই কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি হবে ইসলাম।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.)-এর শিক্ষা’ শীর্ষক সিরাত কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যখন ভারতের মিডিয়াতে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল, তখন ইসলামী নীতি আদর্শে বিশ্বাসীরাই তাদের জানমাল, ইজ্জত ও উপাসনালয় রক্ষায় পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা যখন থমকে গিয়েছিল, তখন তারাই রাস্তায় ট্র্যাফিক সামলানোর কাজ করেছে। এই হলো আমাদের আদর্শের বাস্তবতা। অন্যদিকে গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলো কী করেছে? যখন মায়ের বুক খালি হয়েছে, সন্তানের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়েছে, তখন তারা নেমেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলা বাণিজ্য আর নিজেদের মধ্যে খুনোখুনিতে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা দেশকে অশান্তির আগুনে পুড়িয়েছে।’ আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে এমন মন্তব্য করে পীর চরমোনাই বলেন, ‘বলা হচ্ছে, আমরা নাকি কোথা থেকে এলাম! গত ১৫ বছর ধরে আমাদের একজন এমপিও সংসদে যায়নি। এর মানে এই নয় যে, আমাদের সুযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সবাই আমাদের ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী এবং জাতীয় ওলামা পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু মোহাম্মদ রহমানি প্রমুখ।