চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের অর্থায়নে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সম্প্রতি চীনের সফর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার জানান, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চীন সরকার, ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ইনস্টিটিউট স্থাপিত হবে। এখানে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিও শেখানো হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চীনকে আধা একর জমি বরাদ্দ দেবে এবং চীনের অর্থায়নে ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
উপাচার্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তারা ১৩-১৯ নভেম্বর চীন সফর করেন।
উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এখন উষ্ণ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা ফুল ফ্রি স্কলারশিপে চীনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আরও বেশি নিতে পারুক। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।”
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মো. শামীম উদ্দিন খান বলেন, “চবির ৫৪টি বিভাগের সিলেবাস আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। বিদেশি শিক্ষার্থী আকৃষ্ট করতে হলে আবাসিক সুবিধা আরও বাড়াতে হবে।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে চবির ইনস্টিটিউট আলাদা বৈশিষ্ট্যময় হবে। এখানে চীনা ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখানো হবে। বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করছেন, তারা আমাদের ভাষা শিখতে আগ্রহী হবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক