বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সিন্ডিকেট মুক্ত কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) শহরের সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে এই বাজার বসে।
জানা গেছে, অন্য বাজারগুলো থেকে প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করছেন তারা। যার ফলে সব শ্রেণী পেশার মানুষ এখান থেকে সবজি কিনতে পারবেন।
জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সবজির দাম বেশি হওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বগুড়ার বাজারগুলো থেকে প্রতিটি সবজি প্রতি কেজিতে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় ১৮ রকমের সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁচা বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেট মুক্ত কাঁচাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫২ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫৭ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর বই ৪০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, মরিচ ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস ৩৭ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, জলপাই ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরিষার শাক, মূলা শাক, পুঁইশাক ১০ টাকা আঁটি বিক্রি করছেন।
এদিকে বগুড়ার বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, ফুলকপি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর বই ৬০টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, মরিচ ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা, লাউ ৪০টাকা, সরিষা শাক ২০ টাকা, মূলা শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, রসুন ২৮০ টাকা, জলপাই ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিন্ডিকেট মুক্ত বাজারে সবজি কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, শহরের অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে কম দামে সবজি পাচ্ছি। প্রতিটি সবজি কম দামে বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা। এটি ধারাবাহিক ভাবে থাকলে বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ হবে।
সিন্ডিকেট মুক্ত বাজারে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-মাহমুদুল, হাসান, ওহাব, চৈতি, সাকিব হাসান, জুনায়েদ, মোস্তফা তোফায়েল, সাকিব খান, শাহীসহ আরো অনেকে।
তারা জানান, বগুড়ার বাজারগুলোর চেয়ে ৫ টাকা থেকে ২০টা পর্যন্ত সবজির দাম কম রয়েছে এখানে। সকালে মহাস্থান ও স্থানীয় পাইকারি বাজার থেকে ১৮ রকমের সবজি আমরা সংগ্রহ করেছি। প্রতিদিন এই বাজার বসবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সবজির দাম ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক