১৭ জুন, ২০১৯ ২০:৩৯

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের

অনলাইন ডেস্ক

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের

বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জিততে হলে ব্যাটসম্যানদেরই এখন বিশাল দায়িত্ব পালন করতে হবে। ওপেনার থেকে শুরু করে দলের প্রতিটি পজিশনে প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল।

২০১৫ বিশ্বকাপেই এই রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের নেলসনে স্কটল্যান্ডের করা ৩১৯ রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবালের অনবদ্য ৯৫ রানের ওপর ভর করে ৩২২ রান করে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাও ১১ বল হাতে রেখেই। 

ওই ম্যাচে দলের জয়ে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া ফিফটি গড়েন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

বিশ্বকাপ ছাড়াও ৩০০ প্লাস রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে স্বাগতিকদের করা ৩১৩ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচেই তামিম ইকবাল খেলেছিলেন ১৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস।

এছাড়া ২০১৩ সালে ফতুল্লায় নিউজিল্যান্ডের করা ৩০৭ রান তাড়া করতে নেমে ৩০৯ রান করে ৪ উইকেটের ব্যবধানে টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওই ম্যাচে শামসুর রহমান শুভ খেলেছিলেন ৯৬ রানের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ৩২২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে ছয় রানে গেইলকে হারালেও হেটমায়ারের ঝড়ো ফিফটি এবং শাহ হোপের ৯৬ ও লুইসের ৭০ রানের ওপর ভর করে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবীয়রা।  

এর আগে টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  

বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটা রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪/৯ রান করেছিল কার্ল হোপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দল।

ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ১৩ বল খেলে শূন্য রানে গেইলকে ফিরিয়ে টাইগারদের উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন সাইফউদ্দিন। সেখান থেকে শাই হোপের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়ার পর ৭০ করা লুইসকে ফেরত পাঠান সাকিব। লুইসের পর পুরানের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টানতে থাকেন হোপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানে নিকোলাস পুরানকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন সাকিব। 

এরপরই যেন ক্যারিবীয়রা আসল রূপে ফেরেন। হেটমায়ারকে নিয়ে ৮২ রানের ঝড়ো একটা জুটি গড়েন শাই হোপ। এর মধ্যে ২৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন হেটমায়ার। 

ফিফটির পরের বলে মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন হেটমায়ার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন হোল্ডার।

ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে ৯৬ রানে আউট হন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন এবং দু'টি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ দুই দল খেলেছে সমান চার ম্যাচ। তাতে এক জয়, আর বৃষ্টির বাধায় এক পয়েন্ট করে পেয়েছে উভয় দল। টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই। হারলেই চলে যাবে ব্যাকফুটে। এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছে দল দুটি। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর