পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান ও বলিউডের বাণী কাপুর অভিনীত ‘আবীর গুলাল’ ১২ সেপ্টেম্বর ভারত ছাড়া মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। বহু বিতর্ক, রাজনৈতিক উত্তাপ ও সীমান্ত-সংবেদনশীলতার ছায়ায় ঢাকা এই ছবি যেন ভারতীয় দর্শকদের কাছে এক নিষিদ্ধ স্বপ্ন। মুক্তির পরপরই ছড়িয়ে পড়ে সম্ভাব্য ভারতীয় মুক্তির তারিখও ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেয় ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত। ভারতে এই ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলা হচ্ছে না।
আরতি এস বাগড়ীর পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিটি মূলত প্রেম, প্রতিশোধ ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের গল্পকে কেন্দ্র করে। ছবির মুক্তি এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই স্থগিত রাখা হয়। আসলে পহেলগামের ঘটনার পর ভারত সরকার পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যার প্রভাব পড়ে ‘আবীর গুলাল’-এর মুক্তির পরিকল্পনায়। যদিও ছবির আন্তর্জাতিক মুক্তি ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ জাগিয়েছিল, তবে পিআইবি-এর বিবৃতি সেই আশাকে একেবারে দমিয়ে দেয়।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) এক সরকারি বিবৃতিতে জানায়, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, আবীর গুলাল ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ ভারতের সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছবিটির জন্য কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’
ফাওয়াদ খান, যিনি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন, পহেলগাম হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। কিন্তু পরে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরুদ্ধে তাঁর একটি পোস্টে বিতর্কের আগুন জ্বলে ওঠে। তিনি সেই অভিযানকে ‘লজ্জাজনক হামলা’ বলে অভিহিত করেন, যা ভারতীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক ট্রোলিং এবং রাজনৈতিক মহলে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এই বিতর্কই ‘আবীর গুলাল’-এর ভারতীয় মুক্তির পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
এর ফলে, ভারতীয় সিনেমা হলে ‘আবীর গুলাল’ মুক্তির আশা আর পূর্ণ হতে পারল না।
বিডি প্রতিদিন/মুসা