২৮ মার্চ, ২০২০ ২১:৩৫

পরিবর্তনের বার্তাবাহক না হয় আপনিই হলেন..!

ইফতেখায়রুল ইসলাম

পরিবর্তনের বার্তাবাহক না হয় আপনিই হলেন..!

ইফতেখায়রুল ইসলাম

প্রয়োজনের তাগিদে আমরা যারা বাইরে বের হচ্ছি এবং কিছুটা সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির অধিভুক্ত, তারা চলার পথে সম্ভব হলে বয়স্ক রিক্সাওয়ালা চাচার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়েন! ( যদিও একটু নিরাপদ দূরত্ব থেকে করাটাই বাঞ্ছনীয়)! চলাচলের সময় একটু দুই পাশ খেয়াল করলেই আপনি পেয়ে যাবেন এরকম অনেককেই। সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব ততটুকুই তাদের জন্য করুন প্লিজ।

"দিনে আনে দিনে খাই" মানুষগুলোর মলিন মুখই আপনাকে তাদের হয়ে কথা বলবে! সম্ভব হলে ৫০,১০০, ৫০০ টাকা যাই পারেন তাই নয়তো হাতে তুলে দিয়েন!

যে রিক্সায় চড়ছেন পারলে প্রয়োজনের একটু অতিরিক্ত ভাড়া তাকে দিয়েন! সময়টা আমাদের কারোরই অনুকূলে নয়, তা সত্ত্বেও এই মানুষগুলোর জন্য সময়কে একটু না হয় থামিয়ে দিন! তাদের বুঝতে দিন, তারা একা নন! আপনিও আছেন পাশে!

আপনি যেখানেই সাহায্য প্রদান করবেন, দেখবেন একটা শ্রেণি থাকবে যেখানে তার চোখ, মুখ এই সাহায্য পেতে চাওয়ার কথা বলবে কিন্তু প্রবল আত্মসম্মানবোধ, তাকে আটকে রাখবে! একটু কৌশলে পারলে তার হাতেও একটু ভালবাসা গুঁজে দিয়েন!

এই খারাপ সময়টা ইনশাআল্লাহ থাকবে না, এই মানুষের অনেকেই থাকবেন! বিশ্বাস করুন এই মমত্ব, ভালোবাসা টিকে থাকবে অনেকটা সময়। এসময়ে আপনার, আমার মানবতাই না হয় ভালবাসার কথা বলুক!

আমরা অনেকেই যাকাত প্রদান করি। এ সময় আপনি সম্ভবত যাকাতের অর্থও প্রদান করতে পারবেন! আপনার যাকাত কি পরিমাণ হতে পারে, তার অনুমান করে সেখান থেকেই একটি অংশ দিয়ে অসহায় মানুষগুলোর জন্য নয়তো একটু এগিয়ে এলেন। পরবর্তী সময়ে প্রকৃত যাকাতের সাথে সমন্বয় করে নিলেন! আমি জানি না আমার এই বলাটুকু ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা, কিন্তু আমার বিশ্বাস এতে হক আদায় হবে, তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সাহায্য প্রদানের সময় আমরা প্রায়ই রাস্তার দুই পাশে অবস্থানরত একই ব্যক্তিদের বারবার সাহায্য করে থাকি! শীতকালে কম্বল প্রদানের সময় এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়! একই ব্যক্তি কয়েকটি কম্বল পেলেও, কেউ কেউ একটিও পেতেন না শুধুমাত্র আমাদের তাড়াহুড়োর কারণে! যে কোনো সাহায্য প্রদানে এই বিষয়টিও একটু মাথায় রাখলে সুষ্ঠু বন্টনটুকু নিশ্চিত হবে।

অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদানের ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই ব্যক্তি বারবার একই রকমের দ্রব্যাদি সাহায্য হিসেবে পাচ্ছেন!( যদিও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদাই এখন বেশি) তবে কখনো কখনো উদ্দেশ্য মহৎ হলেও সেটি প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়! এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখেছি অর্থপ্রাপ্তিকে সাহায্যপ্রার্থী বেশি সাধুবাদ জানান!

সবকিছু বাদ দিয়ে সাহায্য করাটাই জরুরি! এই সময়টির দায় শুধু রাষ্ট্রের একার নয়; বরং আমাদের সকলের। চলার পথের আপনার এই ছোট্ট সহায়তাটুকু, কারো জন্য প্রাণ সঞ্জিবনী হয়ে উঠতে পারে!

আর কে না জানে "Small efforts can make big changes"! Be that change maker for the sake of the society please.

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন), ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর