বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফের স্থগিত

প্রতিদিন ডেস্ক

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি আস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন শরীরে নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আবারও স্থগিত করা হয়েছে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস টিকার পরীক্ষা স্থাগিত হলো। সূত্র : বিবিসি। এ ব্যাপারে আস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ট্রায়ালে কারও অসুস্থতার কারণ যখন ব্যাখ্যা করা যায় না, তখন পরীক্ষায় এ ধরনের ‘বিরতি’ স্বাভাবিক ঘটনা। বিবিসির চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক ফারগাস ওয়ালশ জানিয়েছেন, এ টিকার ট্রায়াল বিশ্বের যেখানে যেখানে তার সবই স্থগিত করা হয়েছে। একটি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিকটি যাচাই করার পর ট্রায়াল আবার শুরু করতে পারবে কিনা- নিয়ন্ত্রক সংস্থা সে সিদ্ধান্ত নেবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বড় ধরনের পরীক্ষায় হঠাৎই অসুস্থতার ঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে অবশ্যই স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। অক্টোবরে আসতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন : জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে আসতে পারে। গত মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ফাইজার ও বায়োএনটেক আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হবে। সিএনএনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাহিন বলেন, ভ্যাকসিনটির চমৎকার প্রোফাইল রয়েছে এবং আমি এটিকে প্রায় নিখুঁত হিসেবে বিবেচনা করছি। মার্কিন ও জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট এ দুই কোম্পানি বলেছে, চলতি বছরের শেষের দিকে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বিএনটি১৬২-এর ১০ কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১৩০ কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা চলছে। বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উগুর সাহিন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, চলমান পরীক্ষায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব ডেটা আসছে তাতে ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে তাদের অগাধ আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। অক্টোবরে চূড়ান্ত ফল এলে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের জরুরি অনুমোদন মিলবে বলেও আশাবাদী তিনি। এই ভ্যাকসিন তরুণ ও বয়স্কদের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন সাহিন। এতে হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও তা এক থেকে দুই দিনের মধ্যে চলে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর