এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব নিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছে। যারা এটা করেছেন, আশা করব তারা ভুল স্বীকার করে একই জায়গায় সংশোধনী প্রকাশ করবেন। অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে খুবই উদার। তবে কাউকে ইচ্ছামতো ভুল সংবাদ প্রচারের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যারাই এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বেশ কিছু সংবাদপত্রে খবর এসেছে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, দুই মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা, যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও পরিচালনা করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে তা নয়। অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।