প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘চামড়াশিল্প দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি। এ শিল্পের সঙ্গে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি।’ গতকাল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস চামড়াশিল্পের সংকট সমাধানে করণীয় নির্ধারণে দ্রুত একটি পৃথক বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় সম্পর্কে পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে এ কাজগুলো করে যেতে হবে। যেসব নীতিমালা-আইন কোনো কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে সামনে অগ্রসর হওয়ার পথ বের করতে হবে। নিজেদের উত্তরণের জন্যই এ কাজগুলো করে যেতে হবে।’
সভায় ১৬টি সিদ্ধান্তের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সভায় তৈরি পোশাকশিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান এবং ম্যানমেড ফাইবার সম্পর্কিত কাঁচামাল ও এ শিল্পের মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান বিষয়েও আলোচনা হয়।
সাভারে ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন এপিআই পার্ক পূর্ণমাত্রায় চালু করা ও ২০২২ সালে প্রণীত শিল্পনীতি হালনাগাদকরণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।