চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ডিএমপির ৫০ থানায় খুন ১৫৪, ডাকাতি ৩৩, ছিনতাই ২৪৮ ও চুরির ১ হাজার ৬৮টি মামলা হয়েছে। এ মুহূর্তে ডিএমপিতে ৭ হাজার ৮১২টি মামলা তদন্তাধীন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন একজন ডাকাত, পাঁচজন চোর, ১৩ জন মাদক কারবারি, দুজন প্রতারক ও ১২ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। একই সঙ্গে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় এ সময়ে ৩৩টি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডিবি ওয়ারী বিভাগ ১২৩টি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এ সময় চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পৃথক অভিযানে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ কবজি কাটা আনোয়ার গ্রুপের দুই সদস্য মোহাম্মদ নিশাত ও মোহাম্মদ রাসেল ওরফে পেস্টিং রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২ হাজার ৮৪৫টি মামলা করেছে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্যে ২৮২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১১ দিনের বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনার বিষয়ে তালেবুর রহমান বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপি সর্বদা সতর্ক রয়েছে। কেউ যদি অপরাধ করার চেষ্টা করে, তাহলে আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। এর বাইরে গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে ডিএমপি। এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, থানায় দেনদরবার করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো বাদী বা আসামি চাইলে মীমাংসার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর বাইরে থানায় বসে দেনদরবার করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।