নরসিংদীতে জেল থেকে বের হয়ে মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মো. কাদির মিয়া (৩২)। তিনি সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি চায়ের দোকানদার ছিলেন। এ হত্যায় জড়িতরা সম্প্রতি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। জমি নিয়ে বিরোধে হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কাদের মিয়া। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, বাড়ির উঠানে একটি চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন কাদির মিয়া। এ সময় তার চাচা আসাদ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত তাকে কোপাতে থাকেন। নিহতের স্বজনরা এগিয়ে এলে তারা চলে যান। পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়া কাদিরকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বিকালে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরপরই জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কাদিরের বাবা হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাড়ির উঠানে এসে সবার চোখের সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ২২ শতাংশ জমি তারা জোর করে নিতে চায়। গত ২৫ মে তারা আমাকে ওই জমির জন্য কুপিয়েছিল। আমাকে কোপানোর ঘটনায় ছেলে কাদির তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই মামলায় ২২ দিন জেল খেটে সম্প্রতি তারা বাড়িতে ফেরে। ওই ক্ষোভে তারা বাড়ির উঠানে কাদিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, জমি ও মামলা-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে ওই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তার লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
