আগামী সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র নির্দিষ্ট থানায় জমা না দিলে দুটি করে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, যাদের হাতে আন-অথরাইজ ওয়েপেন বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দেবেন।
জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র মামলা এবং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র কাছে রাখার মামলা হবে। গতকাল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিষিদ্ধ অস্ত্র সাধারণ জনগণের কাছে কীভাবে গেল? আনসার সদস্যদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের ছবি ও ভিডিও থেকে দেখলাম, সিভিল ড্রেসে বেশির ভাগই হচ্ছে যুবক। এই জনগণ কারা? আমরা অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। আমি অফার করছি আগামী ১৯ আগস্টের মধ্যে অস্ত্রগুলো ফেরত আসতে হবে। ফেরত না এলে অস্ত্র অভিযানে যদি আমরা কারও কাছে অস্ত্র পাই, তার বিরুদ্ধে দুটি চার্জ লাগবে (মামলা হবে)। যদি নিজেরা জমা দিতে না পারেন তাহলে কারও মাধ্যমে দেন। যেটাই হোক এই অস্ত্রগুলো আমাদের দরকার।
এদিকে গত রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কারও কাছে লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র বা গুলি থেকে থাকলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জমা দিন। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র ও গুলি কারও হেফাজতে থাকা দন্ডনীয় অপরাধ।
গত ৯ আগস্ট আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের কিছু ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে কারও কাছে রক্ষিত এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ অথবা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে অতি দ্রুত নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জমা অথবা যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
গত ৮ আগস্ট র্যাব সদর দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি বা পুলিশ লাইন থেকে লুট করা, হারানো অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্বেচ্ছায় নিকটস্থ র্যাব কার্যালয় বা ব্যাটালিয়নে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।