যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরুন ও সুপারভাইজার স্পেশাল এজেন্টের সমন্বিত একটি টিম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে বৈঠক করেছে। গতকাল দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এফবিআইর সমন্বিত টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করে। দলটি দুদকের মানি লন্ডারিং ও লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সভায় অংশ নেয়। সভা শেষে বিকালে নিজ কার্যালয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, এফবিআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। দুদক কীভাবে কাজ করে, এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা। যদি কখনো তাদের (এফবিআই) সহায়তা প্রয়োজন হয়, তবে তারা সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। অর্থ ফিরিয়ে আনতে এফবিআইয়ের সহায়তা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, টাকা যাতে পাচার না হয় সেজন্য দুদক কেন, আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তারাও কাজ করছেন। টাকা যেন পাচার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ম্যাকানিজম ডেভেলপ করছে। সাকসেসফুললি ফাংশনিং হলে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্টা চলছে এবং চলমান আছে। আর এমএলআরের মাধ্যমে টাকা ফেরত আনার বিষয়ে প্রায় ৩৫টার মতো সফলতা আমাদের আছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কাজ করে দুদক, সিআইডি, বিএফআইইউ, এনবিআরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত কার্যক্রম, আইন ও দুদকের সক্ষমতা এফবিআইকে জানানো হয়। বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সংস্থাটির কোনো সাহায্য নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আলোচনা হয় যৌথ টাস্কফোর্স নিয়েও। দুদকের সঙ্গে এফবিআইসহ একাধিক বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।