শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অফিস টাইম

অফিস টাইম

♦ মডেল : তাহসান ♦ পোশাক ও ছবি : গ্রামীণ ইউনিক্লো

সভ্যতার সঙ্গে পোশাকের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আর মানুষের সম্মান, ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীলতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো পোশাক। এ জন্যই অফিসে চাই রুচিসম্মত পোশাক। লিখেছেন- ফেরদৌস আরা

 

পোশাকেই রুচির পরিচয় ঘটে। এ কথা মানবে কুড়ি থেকে ষাট বয়সের ছেলে-বুড়ো। অফিস টাইমকে প্রাণবন্ত করে তুলতে তাই তো প্রয়োজন রুচিসম্মত মানানসই পোশাক কালেকশন...

 

পোশাকের সঙ্গে সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য এক সম্পর্ক। মানুষের আত্মসম্মান এবং রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর অন্যতম মাধ্যম এই পোশাক। তবে তা হওয়া চাই রুচিসম্মত। তবে এক্ষেত্রে পোশাক নির্বাচন করাটাও এক রুচির পরিচয়। ধরুন, বিয়ে বা পার্টি চাই এক ধরনের পোশাক। আবার অফিস টাইমে চাই পরিপাটি ও রুচিসম্মত মানানসই পেশাক। কেননা, অফিসে স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক ব্যবহারই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

 

কেমন হবে অফিসের পোশাক

কথায় বলে, আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। তাই পোশাক নির্বাচনেও সতর্কতা আবশ্যিক। অফিস টাইমে যতটা পরিপাটি থাকা যাবে অন্য সবার কাছেও ঠিক ততটাই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা সম্ভব। অফিস টাইমের পোশাক কেমন হওয়া উচিত? এমন এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ ইউনিক্লোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হক জানালেন, ‘অফিস টাইমে স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক বেছে নেওয়া ভালো। ভাবছেন হয়তো এসব ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ের দিকে নজর রাখবেন। অফিসে নিজেকে স্মার্ট আর রুচিসম্মতভাবে উপস্থাপনের জন্য পোশাকের রং, আকার এবং আবহাওয়ার দিকটিও বিবেচনায় রাখা উচিত। এ ছাড়াও পরিধানকারীর বয়স, গায়ের রং, আকার ও পেশার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা জরুরি।’

 

অফিসে করপোরেট লুক

অফিস এমন একটি জায়গা যেখানে আপনার পরিশীলিত ব্যক্তিত্ব ছাড়া অফিসে গুরুত্ব পাওয়া কঠিনই হয়। চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের ফরমাল গেটআপটা বেশ জরুরি। তবে ফরমাল শার্ট মানেই যে সাদামাটা ঢিলেঢালাÑ এমন প্রচলন এখন আর নেই। এখন ফরমাল শার্টও হচ্ছে কালারফুল। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিন চেক শার্ট কিংবা একরঙা শার্ট। অফিসের করপোরেট লুকের সঙ্গে পার্টি লুক আনতে বেছে নিতে পারেন মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচিং কালারের পোশাক। তবে এক্ষেত্রে একটু লাইট কালার বেছে নিন। কিছু ফুলহাতা শার্টের কলার ও হাতায় এখন বিপরীত বা হালকা বিপরীত রঙের কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ফরমাল শার্টে দিয়েছে নতুন রূপ। ফরমাল শার্টের সেলাই ও ডিজাইনও এখন অতীতের চেয়ে অনেক আধুনিক এবং রুচিসম্মত।

 

অফিসে ক্যাজুয়াল লুক

অফিসে টি-শার্ট, জিনস পরলেও দেখতে যেন মার্জিত লাগে। তাই বলে গোল গলা গেঞ্জি বা স্যান্ডেল! পুরো বেমানান। অফিসে স্যুট না পরলেও ফুলহাতা শার্ট পরা উচিত। সঙ্গে খাকি বা গাঢ় রঙের প্যান্ট। অফিসে ক্যাজুয়াল লুকের জন্য কয়েক রঙের শার্ট থাকা চাই। ক্যাজুয়াল বা সেমি ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে সহজে ফিটফাট হওয়া যাবে এমন কিছু সংগ্রহে রাখুন। যেমন ফিটেড প্যান্ট, বুট কাট ধাঁচ বা চাপা- দুটি স্টাইলই চলতে পারে। তবে এক্ষেত্রে  কম বয়সী ছেলেরা এখন সিøম স্টাইলের টাই পরছেন। একটা ব্লেজার আর খাকি, কালো ও গাঢ় নীল রঙের প্যান্টও রাখতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যা-ই পরা হোক না কেন, তাতে করপোরেট একটা লুক থাকতেই হবে। হাল ফ্যাশনে এটাকেই বলা হচ্ছে করপোরেট ক্যাজুয়াল।

 

পোশাক নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়

অফিসের পোশাকের রং নির্বাচনে ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কিন্তু  কোন রঙের পোশাকে সুখী ও উত্ফুল্ল দেখায়, আবার কোন রঙের পোশাকে বিমর্ষ দেখায় তাও বিবেচনার বিষয়। এক্ষেত্রে মোটা ছেলের হালকা রঙের পোশাক পরিধান করা উচিত। আর যারা মোটা এবং খাটো তাদের বড় প্রিন্টের পোশাক এড়িয়ে চলা শ্রেয়। একইভাবে যারা শুকনো এবং লম্বা তারা বড় বড় প্রিন্টের পোশাক পরলে বেশ ভালো মানাবে।

 

মানানসই অনুষঙ্গ

অফিসের হাতঘড়িটা সিম্পল পরুন। হাতে রিং কিংবা ব্রেসলেট পরতে পারেন অনায়াসে। প্যান্ট বা শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে বেল্ট বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কালারফুল বেল্টও একেবারে মন্দ হবে না। একইভাবে জুতা অথবা শুও বেছে নিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর