শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ঠোঁট থাকুক সুন্দর

ফেরদৌস আরা

ঠোঁট থাকুক সুন্দর

সাধারণত ঠোঁটের যত্নে সারা বছর আমরা এমন কিছু বাম ব্যবহার করি, যার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানও মজুদ থাকে। ♦ মডেল : নাফিসা মালিয়াত প্রমি ♦ মেকওভার : আফরোজ মিনু ♦ ছবি : নেওয়াজ রাহুল

বাতাসে হিমেল ছোঁয়া আর আবহাওয়ায় শুষ্কতার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে অন্যতম ঠোঁট ফাটা। আরও আছে ঠোঁট কালো হওয়া, প্রাণহীন দেখানো। এর অন্যতম কারণ, মানসম্মত লিপবাম বা লিপস্টিক ব্যবহার। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু লিপবামে ক্যামফার ও মেন্থল থাকায় তা ঠোঁট কালো করে দেয়। তাই লিপবাম কেনার আগে খেয়াল রাখুন, লিপবামে পেট্রলিয়াম জেলি, এসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিন আছে কিনা!

 

শীতের শুষ্কতা আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন পড়ে। শীতে অন্যতম সমস্যা ঠোঁট ফাটা। আরও আছে ঠোঁট কালো হওয়া এবং প্রাণহীন দেখানো। শুরুতে জানতে হবে, কী কী কারণে ঠোঁট ফাটা এবং কালো হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে কড়া রোদে দীর্ঘ সময় থাকা, পানিশূন্যতা, গর্ভাবস্থা, বছরের পর বছর গভীর রাত জেগে থাকা, সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবারের অভাব। মাত্রাতিরিক্ত হারে প্রসাধনী ব্যবহার করা, একজিমার জন্যও ঠোঁট কালো হতে পারে। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু প্রোডাক্ট যেমন-  লিপবাম বা লিপস্টিকে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা ঠোঁটের জন্য দারুণ ক্ষতিকর। এতে থাকা ক্যামফার ও মেন্থল ঠোঁট কালো করে দেয়। তাই এই শীতে ঠোঁট নরম রাখার বাম কেনার আগে খেয়াল রাখুন লিপবামে পেট্রোলিয়াম জেলি, এসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিন আছে কি না! একইভাবে লিপস্টিক কেনার আগেও খেয়াল রাখুন কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা। তবে লিপবাম ব্যবহারের পরও খানিকক্ষণ পর ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই জেগে থাকার সময় যাওবা খেয়াল করে মাঝেমধ্যেই লিপবাম লাগিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেওয়া যায়, ঘুমানোর সময় তার উপায় থাকে না। অথচ শীতের রাতে প্রায় সাত-আট ঘণ্টা শুকনো ঠোঁট থাকলে তা অচিরেই ফাটবে। তাই অনেকেরই বাম ব্যবহারের পরেও ফাটে ঠোঁট। আবার ধূমপান থেকেও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাই ঠোঁটের যত্নে ভালো ফল পেতে ধূমপান ত্যাগ করুন। সঠিক লাইফ স্টাইল এবং কিছু ঘরোয়া উপায়ে বিশেষ যত্ন নিলে শীতকালজুড়ে ঠোঁট থাকবে আর্দ্র।

অভ্যাস বদল : যাদের ঠোঁট ভীষণ শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদভ্যাস তৈরি হয়।  কিছুক্ষণ পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এটি করলে ঠোঁট শুকাবে না। কিন্তু এতে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই কাজটি থেকে বিরত থাকুন।

 

মানসম্মত প্রসাধনী : ঠোঁটে লিপজেল বা ভ্যাসলিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিন।  অনেকেই যে কোনো ব্র্যান্ডের লিপবাম বা লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখবেন, মানহীন পণ্য ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতির অন্যতম কারণ।

 

পানি পান : প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের শুকিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর আপনি ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

 

সতর্কতা : ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় একটু সাবধানে ব্যবহার করুন যাতে ঠোঁটে না লাগে। কারণ এতে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে সাবান ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও একইভাবে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

 

ঘরোয়া পরিচর্যা

রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য ঘিয়ে মেশানো একটু দুধের সর। মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে নরম রাখে ঘি। আর দুধের সর ত্বকের অভ্যন্তরের ময়লা দূর করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে দেয়। তাই মিশ্রণটি সারা রাত ঠোঁটে দিয়ে রাখলে ঠোঁট নরম তো হবেই, সঙ্গে ঠোঁটের কালো ভাবও দূর হবে। সম্ভব হলে এক চা চামচ জলপাই তেল, এক চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি হবে অনেকটা জেলের মতো। এটা দুই মিনিট ঠোঁটে রাখলে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে আসবে। এরপর ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলতে হবে। মিশ্রণটি ব্যবহারে মৃত কোষ উঠে গিয়ে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর