আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বোমায় ৩৬ আইএস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল ধ্বংস করতেই হামলা বলে দাবি পেন্টাগনের। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এই হামলার নির্দেশ দেন। পশ্চিম এশিয়া থেকে সরে এসে আমেরিকা হঠাৎ কেন আফগানিস্তানে শক্তি দেখাতে গেল তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
মাদার অফ অল বম্বস। মার্কিন অস্ত্রাগারে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমানবিক বোমা। আইএস জঙ্গিদের ধ্বংস করতে এই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে এত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা ব্যবহার করল আমেরিকা। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের আচিন জেলায় এমসি-১৩০ বিমান থেকে ফেলা হয় বোমা।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মার্কিন বোমায় আচিন জেলার মোমান্দ দারা এলাকায় আইএস জঙ্গিদের গুহা-সুড়ঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় কোনও সাধারণ নাগরিক হতাহত হননি।
আমেরিকার এই ধ্বংসাত্মক হামলার কথা আফগান প্রশাসন যে জানত তা তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট। তবে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর নিন্দা করেছেন। তার মতে, এটা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়। নতুন মারণাস্ত্রের পরীক্ষাগার হিসাবে অমানবিক ও নির্মমভাবে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনকে থামানোর কাজটা আফগানদের উপরেই নির্ভর করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দৈত্যবোমার সাঙ্কেতিক নাম জিবিইউ-৪৩। পোশাকি নাম ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বা মোয়াব। মার্কিন সেনা একে ডাকে মাদার অফ অল বম্বস নামে। ২০০৩-এ ইরাক যুদ্ধের সময় সাদ্দাম হোসেনকে ভয় দেখাতে প্রথম মাদার অফ অল বম্বসের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় আমেরিকা। ৩০ ফুট লম্বা বোমার ওজন ১০ হাজার কেজিরও বেশি। বোমার ক্ষমতা ১১ টন ট্এনটির সমান।
গত সপ্তাহেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সিরিয়ায় বাসার-আল-আসাদের বিমানঘাঁটি উড়িয়ে দেয় আমেরিকা। জঙ্গি দমনে এবার আচমকাই পশ্চিম এশিয়া থেকে সরে এসে আফগানিস্তানে বড় আঘাত হানল তারা। মস্কো-ওয়াশিংটন উত্তেজনার মধ্যে পুতিনকে বার্তা দিতেই কি ট্রাম্পের এই বিমানহামলা? উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্ব।
সূত্র : জিনিউজ
বিডি প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা