স্বামীর যৌন কেলেঙ্কারির কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মুখ হুমা আবেদিন। প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক প্রতিনিধি অ্যান্থনি ওয়েইনারের সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে তিনি এ আবেদন করেছেন।
অ্যান্থনি ওয়েইনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অল্প বয়সী এক মেয়ের কাছে আপত্তিকর ছবি বা লেখা পোস্ট করেছেন। তিনি এ অভিযোগ স্বীকারও করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন হুমা আবেদিন।
উল্লেখ্য, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শীর্ষ সহযোগী ছিলেন হুমা আবেদিন। তার পুরো নাম হুমা মাহমুদ আবেদিন। তার পিতা সৈয়দ জয়নুল আবেদিন ও মা সালেহা মাহমুদ আবেদিন। তারা ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই হুমা আবেদিনের স্বামী অ্যান্থনি ওয়েইনারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তা নিয়ে বেশ আলোচনা, সমালোচনা চলে। সেই অভিযোগ ১৯ মে স্বীকার করেন অ্যান্থনি ওয়েইনার। এদিনই তার সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেন হুমা।
ওইদিন শুনানির সময় অ্যান্থনি স্বীকার করেন, আমার মধ্যে এক রকম নোংরামি ছিল। এক্ষেত্রে আমার কোন অজুহাত নেই। এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। তারপর আবার বলেন, আমি পরে কড়া চিকিৎসা নিয়েছি। আমার এই অধঃপতনের বিরুদ্ধে নৈতিক সাহস সঞ্চয় করেছি, যা আমি প্রতিদিন অব্যাহত রাখবো।
তার এ স্বীকারোক্তির একটি অংশের ওপর ভিত্তি করে তাকে যৌন নির্যাতনকারী হিসেবে নিবন্ধিত করা হবে। তাকে আদালতের হাতে তুলে দিতে হবে তার আইফোন, পাসপোর্ট ও মানসিক চিকিৎসার ডকুমেন্ট। ওই অল্প বয়সী মেয়েটির সঙ্গে তিনি যাতে কোন যোগাযোগ করতে না পারেন এ বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউ ইয়র্কের ভারপ্রাপ্ত এটর্নি জুন এইচ কিম বলেছেন, সাবেক কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি ওয়েইনার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সী একটি বালিকার কাছে তিনি যৌন রগরগে ছবি ও টেক্স পাঠিয়েছেন এ কথা স্বীকার করেছেন। তার এ অপরাধ হলো ফেডারেল ক্রাইম। এর জন্য তিনি এখন দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
সূত্র: সিএনএন।
বিডি প্রতিদিন/২১ মে ২০১৭/ ই জাহান