কাতারের সঙ্গে সৌদিসহ ৭ রাষ্ট্রে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিলিপাইন।
সরকারি তথ্য মতে, বর্তমানে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিপাইনি নাগরিক মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক হিসেবে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক কাতারে বসবাস করেন। কাতারে ফিলিপাইনের শ্রমিকরা সাধারণত গৃহকর্মী, জাহাজের ক্রু, নির্মাণ শ্রমিক ও নার্স ইত্যাদি পেশায় কাজ করে থাকেন।
এদিকে ফিলিপাইনের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা চলমান সংকটের প্রভাবের কারণে বিদেশী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির শ্রম মন্ত্রী সিলভাস্ত্রে বেল্লু জানান, কাতারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
তাদের মূল উদ্বেগের কারণ হচ্ছে কাতারে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ দেশটি তার খাদ্যের যোগানের ৯০ শতাংশই আমদানি করে থাকে।
এর আগে গত ৫ জুন আরব অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসে মদদের অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর। দেশগুলোর অভিযোগ, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে ‘মদদ দিচ্ছে’ কাতার। ইয়েমেন বাদে বাকি দেশগুলো কাতারের সঙ্গে আকাশ, নৌ ও সড়ক পথে যোগাযোগ স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছে।
তবে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ সাতটি দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করায় যে সংকট দেখা দিয়েছে তা নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত। কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল সাবাহ সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। কাতার সংকট সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে এবং কুয়েত সমস্যা সমাধান করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ ৭জুন, ২০১৭/ ই জাহান