রাতে বাসায় ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়েন দীনেশ কুমার। শোওয়ার পর থেকেই অদ্ভুত একটা গন্ধ পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না আদতে কী হয়েছে! পরের দিন সকালে বক্স খাটের গদি সরাতেই চোখ কপালে উঠে গেল তার।
সংবাদ মাধ্যমের খবর, দীনেশ কুমারের বাড়ি ভারতের গুরগ্রামের সেক্টর ৪৬-এ জলবিহার কলোনিতে। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা। রয়েছে ট্যাক্সি ক্যাবও।
ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়ায় চালাতে মাস দেড়েক আগে রাজেশ নামে একজনকে চালক হিসেবে রাখেন। রাজেশ মালিকের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন। ট্যাক্সি ক্যাব চালানোর পাশাপাশি মাঝে মাঝে চায়ের দোকানও দেখাশুনা করতেন রাজেশ।
কাজের তাগিদে কয়েক দিনের জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন দীনেশ। বাড়ির চাবি ছিল রাজেশের কাছে।
ওই দিন গ্রামে নিজের বাড়িতে ঢুকেই রাত হয়ে যাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু প্রচণ্ড দুর্গন্ধ থাকায় সকালে বক্স খাটের গদিটি সরিয়ে দেন। তার পরেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তার।
যে খাটটির উপর শুয়েছিলেন, গদির নীচ থেকে এক পচাগলা লাশ উদ্ধার হয়। শণাক্তকরণের পরে জানা যায়, দেহটি দীনেশের গাড়ির চালক রাজেশ কুমারের স্ত্রী ববিতার।
ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন গাড়ির চালক রাজেশ। জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাতেন তিনি। রাজেশ ববিতাকে খুন করে লাপাত্তা হয়েছে মনে করা হচ্ছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি প্রতিদিন/কালাম