রবিবার সারারাত এবং সোমবার ভোরের টানা বৃষ্টিতে কার্যত থমকে গেছে ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাই। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, রেললাইন, বিমানবন্দর। এমন পরিস্থিতিতে অনেক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও।
আন্ধেরি সাবওয়ে জংশন, লোকমান্য তিলক গণেশ বিসর্জন তালাও, ক্রিষ্টাল হাউজ, আন্ধেরি পূর্ব, সাকিনাকা জংশন, পোস্টাল কলোনি, ভবনস কলেজ জংশন, আন্ধেরি ওয়েষ্ট, দূর্গানগরসহ বিস্তির্ণ এলাকায় সড়কগুলিতে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মুম্বাই পৌরসভার কমিশনার প্রভনি পরদেশীর বলেন, গত দুই দিনে মোট ৫৪০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে-যা এই দশকের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে মুম্বাই শহরতলী ও আশপাশের কিছু জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর সোমবার ভোর ৪ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত-একঘণ্টায় কেবলমাত্র পালঘর এলাকাতেই বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটার। আর সারা রাত ধরে বৃষ্টি হয়েছে ৩৬০ মিলিলিটারেরও বেশি।
বৃষ্টিপাতের ফলে স্বল্প ও দূর পাল্লার ট্রেন পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। হয় ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে, না হয় দেরীতে চলছে। সিয়ন, দাদর, মালাডসহ নিচু এলাকায় হাঁটুর ওপর দিয়ে পানি বইছে। কিছু কিছু জায়গায় পানির স্তর কিছুটা নামলেও জলাবদ্ধতা পুরো কাটেনি।
মুম্বাই শহরের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পানি জমার কারণে বিমান ওঠা-নামায় আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।
পশ্চিম রেলওয়ের পক্ষে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পালঘর অঞ্চলে পানি জমার কারণে মুম্বাই-ভালসাদ-সুরাত লাইনে ১৩ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পরে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ৮টা ৫ মিনিট থেকে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রেনের গতিবেগ রাখা হয়েছে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল