চীন-তাইওয়ানের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ কার্যত এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র- এমটাই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা!
এরই মধ্যে তাইওয়ানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঘোষণায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে চীন।
সোমবার তাইওয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি মাসে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে কূটনৈতিক সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রে সফর করবেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।
এদিকে, চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটনের উচিত প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে অনুমতি না দেওয়া। তাইওয়ান চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। তাই অন্য দেশে তার সম্পর্ক উন্নয়নের কোন অধিকার নেই।
সম্প্রতি মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমা নিয়ে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ফের উত্তেজনার জেরে তাইওয়ানে হামলার জন্য সাগরে মোতায়েন সামরিক ব্রিগ্রেড দুটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টিতে উন্নীত করেছে চীন। এদিকে, তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চীন সাগর দখল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। সাগরের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করছে দুই পক্ষই। তাইওয়ানের অভিযোগ, প্রভাব বিস্তারের জন্য বেইজিং সাগরের কিছু দ্বীপে অনুপ্রবেশ করেছে।
সোমবার তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঘোষণার পরই চীন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাব, তারা যেন ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের অনুমতি বাতিল করে দেন। আর এটা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের খাতিরেই করা উচিত।
মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে চীন-মার্কিন সামরিক সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে এক প্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেং। ওয়াশিংটনকে সোজা নির্দেশ, তাইওয়ানের দিকে হাত বাড়িও না। তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ওয়াশিংটন তাইপের কাছে প্রায়ই বিপুল সমরাস্ত্র বিক্রি করে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার তাইওয়ানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলেও উল্লেখ করছে। এ বিষয়টিকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-বিরোধসহ নানা বিষয়ে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ) তাইওয়ানকে সব রকমের চাপ প্রয়োগ করে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার