যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বৈরি সম্পর্ক নিয়ে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশ দুটির সম্ভাব্য এ যুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে সামরিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরাইলও। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চীন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে যেকোনো মতবিরোধ পারস্পরিক সম্মান ও আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে হবে।
এদিকে, গত ১ জুলাই ইরানি পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের প্রধান মোজতবা জলনৌর ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে আধঘণ্টার মধ্যে মার্কিন মিত্র ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। জবাবে গত মঙ্গলবার এক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ জানান, ইরানের শাসকগোষ্ঠী ভুল করে বসলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে তার দেশ। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই এর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আর উত্তেজক পরিস্থিতির জবাব দিতেই ইসরাইল সামরিক্ত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে তেহরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলো। তারা দেশ দু’টিকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তাদের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির সাথে পরমাণু নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু গত বছর ইউরোপীয় মিত্রদের বাধা সত্ত্বেও ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, চুক্তিতে অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে। ইরানকে নতুন চুক্তিতে বাধ্য করাতে চান তিনি। কিন্তু তেহরান তাতে রাজি হয়নি। দুই দেশের উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১ জুলাই) ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথাও জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার