সিগারেটের বিকল্প হিসেবেই ই-সিগারেটের আবির্ভাব। ফ্যাশনেবল হওয়ায় ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটিতে প্রায়ই টান দিতে দেখা যায় বর্তমান তরুণদের। ড্রাগ জাতীয় মাদক হিসাবে চিহ্নিত করে শীঘ্রই ভারতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ১০০ দিনের মধ্যে যে যে সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করার ভাবনা ছিল মোদি সরকারের, তার মধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ ছিল অন্যতম। এখন সেই কাজেই তৎপর হয়েছে নয়াদিল্লি।
জানা গেছে, বর্তমান আইন মেনে এই পদক্ষেপ কার্যকর করতে বাধার মুখে পড়তে হতে পারে মোদি সরকারকে। সেই প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে একটি প্যানেল। প্যানেলের সদস্যরাই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার কাজ সুগম করবে। যারা চেন স্মোকার অর্থাৎ সিগারেটের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন, নিকোটিনের কু-প্রভাব থেকে বাঁচতে তারা অনেক সময় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেটের সাহায্য নেন। কারণ, ই-সিগারেটে নিকোটিন না থাকায়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয় বলেই দাবি একাংশের। তবে এর উল্টাে মতও আছে।
গবেষণা বলছে, নিকোটিন স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই বিপজ্জনক ই-সিগারেটও। এছাড়া একটা নেশা ছাড়ানোর জন্য, অন্য একটা নেশা সামগ্রী ব্যবহার করাও মোটেই ভালো নয় এবং তা আর একটা নেশা করাই সমান বলে দাবি গবেষকদের। এই যুক্তিতেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বলে মত মোদি সরকারের।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার