কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঈদ পালিত হচ্ছে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে। সম্প্রতি ভারতের সংসদে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ হওয়ার পর থেকে সহিংসতার আশঙ্কায় ভুগছিল কাশ্মীর। এরপর থেকেই উপত্যকার দশটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। বেশ কিছু অংশে কার্ফুও জারি করা হয়। সমগ্র উপত্যকা জুড়েই ছিল নিরাপত্তার বাহিনীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও ভারি বুটের শব্দ।
পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কাশ্মীরের রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলা, তাদের সাথে খাবার খাওয়া, মেষ পালকদের আলাপচারিতা করতে দেখা যায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকেও।
ঈদ উপলক্ষ্যে উপত্যকার একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা শিথিল করার পাশাপাশি কার্ফুও শিথিল করা হয়। খুলে দেওয়া হয় বাজার-ঘাট, দোকান, এটিএম, ব্যাঙ্ক। ফলে মানুষের মনেও টানা কয়েকদিনের আতঙ্কের মাত্রা কমে আসে। এরপরই সোমবার সকাল থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেরিয়ে পড়েন ঈদের খুশিতে সামিল হতে। নামাজ শেষে শ্রীনগর পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়, তাদের মিষ্টি মুখও করানো হয়।
গত কয়েকদিন ধরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকা রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদেরকেও এদিন ঈদের নামাজ পড়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জম্মু শহরের বিভিন্ন মসজিদেও ঈদের নামাজে অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ। লাদাখেও স্থানীয় ইমামবাদ মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নেয় বহু মুসল্লি। যদিও লাদাখের বিভিন্ন অংশ জুড়ে এদিনও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর সহিংসতার আশঙ্কায় রবিবার রাত থেকেই শ্রীনগরে ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, একাধিক রাস্তায় কাঁটাতার ও ব্যারিকেড দিয়ে সাধারন মানুষের অবাধ যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় দোকানদারকে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীনগরে সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজটি যেখানে আদায় করা হয় সেই ‘জামিয়া মসজিদে’ এদিন ঈদের নামাজ পড়ার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই পাড়ার গলিতে ছোট মসজিদগুলোতেই তাদের নামাজ আদায় করতে হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা