মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, তারিখটা ছিল ২৪ সেপ্টেম্বর, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, এমানুয়েল ম্যাক্রন ইরানের রাষ্ট্রনেতা হাসান রুহানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। রুহানি ছিলেন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর যে সড়কে সেখানকার মিলেনিয়াম হিল্টন হোটেলে। এই হোটেলটি হল নিউ ইয়র্ক শহরের সেই তিন জায়গার একটি যেখানে হাসান রুহানি যেতে পারবেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে রুহানির চলাচলে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ম্যাক্রন ট্রাম্প ও রুহানির সাথে ত্রিমুখী ফোন কল করতে চেয়েছিলেন। হোটেলে রুহানির ফ্লোরের একটি কক্ষে তিন রাষ্ট্রনেতার ফোনের লাইনটি নিশ্চিত করতে একদল প্রকৌশলীও হাজির হন হোটেলে। রাত সাড়ে ৯টায় সেই কথোপকথনটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রুহানি সেই কলের বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠলে কথা হতে পারে।
২৪ সেপ্টেম্বর সকালে ম্যাক্রন ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে রুহানিকে অনুরোধ জানান, ফরাসি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। এসময় ম্যাক্রন বলেন, 'রুহানি যদি ট্রাম্পের সাথে দেখা করা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন তাহলে সমঝোতার একটি সুযোগ নষ্ট হবে। কারণ কয়েক মাস আর রুহানি যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন না এবং ট্রাম্পও তেহরান যাবেন না।' এসব শুনে রুহানি মাথা নাড়িয়ে হাসেন এবং বলেন, 'তাই তাদের দেখা করতে হবে!'
সূত্র: নিউ ইয়র্কার
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা