দ্রুত কাজ শেষ হোক অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া রেললাইনের। রবিবার এমনই নির্দেশ দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এদিন তিনি জানান, কৌশলগত দিক থেকে এই রেলপথ চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
জিনপিংয়ের দাবি, সীমান্ত এলাকার স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এই রেলপথ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বেইজিং। এই রেলপথটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের ইয়ান থেকে শুরু হয়ে তিব্বতের লিনঝি অবধি যাবে।
উল্লেখ্য, সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে শুরু হবে। এই রেলপথটি তৈরির পরে লাসা অবধি যেতে ৪৮ ঘণ্টার সময় কমে আসবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়।
লিনঝি, যা নিয়াংঝি নামেও পরিচিত সেটি অরুণাচল সীমান্তের খুব কাছে। অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশ চীন নিজের বলে দাবি করে। যা বার বার অনৈতিক দাবি বলে ব্যাখ্যা করে এসেছে ভারত। লিনঝিতে একটি বিমানবন্দরও গড়ে তুলেছে চীন, এই নিয়ে হিমালয়ের কোলে মোট পাঁচটি বিমানবন্দর তৈরি করেছে বেইজিং।
ইয়ান থেকে লিনঝি রেলপথ ১,০১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, এতে ২৬টি স্টেশন থাকবে। প্রতিটি ট্রেন ১২০ থেকে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলবে।
রবিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শি জিনপিং জানান, এই রেলপথ চীনে বদল আনবে। এক নতুন যুগ তৈরি করবে। চীনের সরকারের লক্ষ্য তিব্বতকে এক নতুন রূপ দেওয়া। এই রেলপথের মাধ্যমেই তা সম্ভব হবে। চীন সীমান্তকে আরও মজবুত করবে ইয়ান থেকে লিনঝি রেলপথ।
তিব্বত থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত পর্যন্ত চীনের রেললাইন তৈরি নতুন করে ভারত-চীন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা। এদিকে চীনের তিব্বত থেকে বিস্তৃত প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটার এই রেলপথ সংযুক্ত করবে দক্ষিণ তিব্বতের লাসাং, লিংঝি এবং নায়িংগেছি এলাকাকে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন