আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্ধী কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী মারিন লা পেনকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।
নির্বাচনে ম্যাকরন পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লা পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।
এবার ফ্রান্সের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু কী ছিল?
নির্বাচনী প্রচারণার আগের দিকে ইউক্রেনের যুদ্ধই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পায়।
তবে সম্প্রতি যেসব জনমত সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে মানুষের জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি একমাত্র প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারপরই রয়েছে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, অবসর ভাতা, পরিবেশ এবং অভিবাসন।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফ্রান্সের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়, যা দেশটির গত অর্ধ-শতাব্দীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারী থেকে তাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
ফ্রান্সের অর্থনীতি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের ওপরেই এর প্রভাব পড়েছে।
ফ্রান্সে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪%। ইউরোজোনের দেশগুলোর গড় হারের তুলনায় এই হার সামান্য উপরে।
তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন ক্ষমতা গ্রহণের সময় যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বর্তমান হার তার খুব কাছাকাছি।
অভিবাসনের বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে ফ্রান্সে বসবাসরত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬৮ লাখ।
তাদের এক তৃতীয়াংশ ইউরোপীয় যারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য এবং সদস্য নয় এমন দেশগুলো থেকে ফ্রান্সে গেছেন।
মোটের ওপর সবচেয়ে বেশি অভিবাসী গেছেন আলজেরিয়া থেকে। তারপরই রয়েছে মরক্কো এবং পর্তুগাল।
দক্ষিণ-পন্থী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/কালাম