ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগর উপকূলে নৌকাডুবিতে গত ১০ দিনে অন্তত ২১০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা হুসেম এদিনি জেবাবলি রয়টার্সকে বলেন, কয়েকদিন ধরে সাগরে থাকায় মরদেহগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এত অল্প সময়ে এত মানুষের মৃত্যু আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
খবরে আরও বল হয়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশ সাব-সাহারান আফ্রিকা, সিরিয়া ও সুদানের অধিবাসী। তাদের বহনকারী নৌকাগুলোয় প্রতিবেশী দেশ লিবিয়া অভিযান জোরদার করায় গত কয়েকমাস ধরে তিউনিসিয়া হয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালি যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তিউনিসিয়া এই প্রবণতা রোধের চেষ্টা করছে। সেখানকার বেশ কয়েকটি মর্গে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মরদেহ রাখা আছে।
গতকাল তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্ফাক্সের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ফাউজি মাসমৌদি গণমাধ্যমকে বলেন, 'গত মঙ্গলবার আমাদের হাতে ২০০-র বেশি মরদেহ ছিল। আমাদের হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে তা অনেক বেশি। এখানে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন,‘'বহু মরদেহ উপকূলে আনা হচ্ছে। আমরা মৃতদের পরিচয় জানি না। এমন কী, তারা কোন নৌকায় ছিলেন তাও জানি না। তবে মরদেহের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে প্রতিদিন মরদেহ দাফন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মাসমৌদি জানান, পরবর্তীতে যেন মৃতদের শনাক্ত করা যায় তাই দাফনের আগে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত ২০ এপ্রিল অন্তত ৩০ জনকে দাফন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাগরে আরও অনেক মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ