সিরিয়া থেকে সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ইরান। শুক্রবার থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ইরান ও আঞ্চলিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সহায়তা করার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ইরান এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, কুদস ফোর্সের শীর্ষ নেতা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) বাহ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের অনেকেই ইরাক ও লেবাননে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, আইআরজিসি, ইরানি কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং বেসামরিক নাগরিকদেরও সিরিয়া থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ইরানের সরকারি কর্মকর্তা এবং আইআরজিসির দুই সদস্যসহ আঞ্চলিক সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি দূতাবাস এবং বিপ্লবী গার্ডের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকেও লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কিছু কর্মী এরই মধ্যে সিরিয়া ত্যাগ করেছেন।
এদিকে, শনিবার সিরিয়ার আসাদ বিরোধী যোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দারায়া দখল করার দাবি করেছে। এই শহরটি ২০১১ সালে আসাদবিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। গত এক সপ্তাহে এটি চতুর্থ শহর, যা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে গেল।
সূত্র আরও জানায়, দারায়া দখল করায় বিদ্রোহী সেনারা নিরাপদে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে দামেস্কে চলে যাওয়ার সুযোগ পেল।
অন্যদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে বিরোধী বাহিনী হোমস শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছানোর দাবি করেছে। হোমস দখল করলে রাজধানী দামেস্ক থেকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে আলাওয়ি সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আসাদ বাহিনীর। এটি রুশ সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপরও বড় প্রভাব ফেলবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল