আইন মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় মূল কাজ পুরোদমে শুরু করতে পারছে না ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’বা পিবিআই। প্রায় দুই বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দফতর প্রস্তাবিত পিবিআইয়ের জন্য একটি খসড়া বিধিমালা তৈরি করে। পরে ওই বিধিমালাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। নানা জটিলতায় প্রায় দেড় বছর সেখানে পড়ে থাকার পর ছয় মাস আগে বিধিমালাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিধিমালাটির অনুমোদন মেলেনি। পিবিআই প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, বিধিমালা অনুমোদন না হলেও তদন্ত কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ১০ জুন থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে পিবিআই। ইতিমধ্যে নরসিংদী থানার একটি মানব পাচার মামলায় তদন্ত শেষে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে
পিবিআই। এ ছাড়াও সারা দেশের বিভিন্ন আদালতের নির্দেশে ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত করছে পিবিআই। এই ইউনিট মূলত খুন, ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, চোরাচালান ও কালোবাজারি, মানব পাচার, সাইবার ক্রাইম, ধর্ষণ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত মামলাগুলো তদন্ত করবে। রাজধানীর ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পিবিআই সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করছে। এ ছাড়াও সারা দেশের ২০টি জেলায় পিবিআইয়ের অফিস রয়েছে। এর আগে আবদুল গনি রোডে রেল ভবনের পাশে ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের দোতলায় পিবিআই সদর দফতরের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয় করা হয়েছে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের ৩৫ নম্বর বাড়িতে। থানা পুলিশের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুত করা হয় পুলিশের নব গঠিত বিশেষায়িত তদন্ত ইউনিট ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ বা পিবিআই।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন থানা পুলিশ ডিবি এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের কাঁধে জমে আছে পাহাড়সম মামলার তদন্ত কাজ। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দৈনন্দিন কাজের চাপে থানার তদন্ত কর্মকর্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ করতে পারছেন না। এমনই অবস্থায় থানা পুলিশের ওপর মামলার তদন্তের চাপ কমাতে কাজ শুরু করছে পিবিআই। এটি একটি স্বতন্ত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, পিবিআইর প্রস্তাবিত বিধিমালা প্রাথমিকভাবে সরকারের অনুমোদন হয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদনের। দেশের প্রতিটি জেলায় একজন করে অতরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পিবিআইর টিম কাজ করবে। তারাই মামলাগুলোর তদন্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ফরিদপুর, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহীসহ ২০ জেলায়। ২০১১ সালের ২ অক্টোবর পৃথক তদন্ত ইউনিট পিবিআই গঠনের জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে এক হাজার ৩৫৪টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর পিবিআই গঠনের অনুমোদন পাওয়া যায়।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
আইন মন্ত্রণালয়ে ঝুলে গেছে পুলিশ ব্যুরো বিধিমালা
প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু ২০ জেলায়, মানব পাচার, নারী নির্যাতন, সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন মামলা তদন্ত চলছে
আনিস রহমান
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর