প্রাণীটি দেখতে চিতা বাঘের মতো। স্বভাবে হিংস্র । নিশাচর প্রাণী হলেও দিনের বেলায় খাদ্যের সন্ধানে বের হয়ে বিপদে পড়ে। বাঘের বাচ্চা মনে করে মানুষের হাতে প্রাণ হারায়। প্রাণীটি হালে দেশে খুব একটা দেখা যায় না। কালেভদ্রে দেখা মেলে গ্রামীণ বন-বাদাড়ে। বাংলাদেশ ছাড়া এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত, ভুটান, হিমালয়ের পাদদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, রাশিয়া, জাপান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, জাভা ও সুমাত্রা পর্যন্ত। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এদেরকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। বিশ্বে এরা ভালো অবস্থানে নেই, তাই আইইউসিএন প্রজাতিটি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত ঘোষণা করেছে। বাংলা নাম, ‘চিতা বিড়াল’। ইংরেজি নাম, ‘লেপার্ড ক্যাট’। বৈজ্ঞানিক নাম, Prionailurus bengalensis। প্রাণীটি দৈর্ঘ্যে ৬০-৬৬ সেন্টিমিটার। লেজ ২৯ সেন্টিমিটার। ওজন ৩-৪ কেজি। গায়ের রঙ হলদেটের ওপর কালো ছোপ। দেহতল সাদার ওপর হালকা বাদামি ফোঁটা। দেহের তুলনায় পা খানিকটা লম্বা বিধায় দেখতে অনেকটাই চিতা বাঘের মতো দেখায়। স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এদের প্রধান খাবার স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, হাঁস, মুরগি, ইঁদুর, টিকিটিকি, পতঙ্গ ইত্যাদি। প্রজনন ঋৃতু জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে। যেমন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বারোমাসই প্রজনন ঘটে। শীতপ্রধান অঞ্চলে বসন্তে প্রজনন ঘটে। স্ত্রী চিতা বিড়াল ৬০-৭০ দিন গর্ভধারণ করে ২-৩টি বাচ্চা প্রসব করে।