নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শুরু হয়। গতকাল প্রথম দিনে তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলকে জেরা করেন মামলার অন্যতম আসামি মেজর আরিফ হোসেনের (অব.) আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া। গতকাল জেরা শেষ না হওয়ায় আরিফ হোসেনের আইনজীবী আগামী কর্মদিবসেও তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করবেন বলে জানা গেছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অভিযোগ, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় শালীনতা বজায় রাখেননি। আরিফ হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া জেরার সময় মামলার প্রাসঙ্গিকতায় না গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আদালতে সময় ক্ষেপণ করেছেন বলেও রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ। এদিকে আরিফ হোসেনের পক্ষে জেরার সময় তার আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ঘটনার সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান পুরো ঘটনা মনিটরিং করেছেন। তাকে আপনি এ মামলায় সাক্ষী বা আসামি করেছেন? উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি প্রয়োজন মনে করিনি। তা ছাড়া কর্নেল জিয়াউল আহসান ঘটনার পর মেজর আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা জানতে চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল না। জেরার সময় আরিফের আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, র্যাব-১১-এর আদমজী প্রধান কার্যালয়ে থেকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল যখন মেজর আরিফের নেতৃত্বে অপারেশনাল টিম বের হয় তখন কোনো সিসি তারা নিয়েছিল কিনা? যে গাড়ি ব্যবহার করেছেন লগ বইতে তা এন্ট্রি ছিল কিনা? উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন তারা কোনো সিসি নিয়ে বের হননি। তা ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি হলেও ঘটনার দিন নম্বর প্লেট খুলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় তা লগ বইয়ে এন্ট্রি হয়নি। এ কারণে সিসির কপি বা লগ বই জব্দ করা সম্ভব হয়নি। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, জেরার প্রথম দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে আরিফ হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া জেরা করেছেন। তবে তার জেরা পুরোপুরি শেষ হয়নি। ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখেও আরিফ হোসেনের আইনজীবীই তাকে জেরা করবেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড থেকে নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহূত হন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলার শান্তিরচর এলাকা থেকে ছয়জনের এবং পরদিন ১ মে একই স্থান থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারের বড় মেয়ের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল।
শিরোনাম
- ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
- আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
- রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
- ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
- আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
- শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
- ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
- ‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
- মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
- নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে : মির্জা ফখরুল
তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের জেরা শুরু
৭ খুন মামলা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর