মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা

হোশি কোনিওকে হত্যা করতে দুই মাস ধরে তত্পর ছিল জঙ্গিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী আদালতে জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে জঙ্গিরা দুই মাস ধরে তত্পর ছিল। গতকাল রংপুরের বিশেষ জজ নরেশচন্দ্র সরকারের আদালতে সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টা ধরে জিলানী সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আরও জানান, আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রীর নেতৃত্বে জেএমবির আট সদস্য দুই মাস ধরে রংপুর নগরীতে বাসা ভাড়া নিয়ে হোশি কোনিওকে অনুসরণ করে। তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, জঙ্গিরা ২০১৫ সালের ২ আগস্ট রংপুর নগরীর নুরপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসের পাশাপাশি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনে। তাতে তারা হোশি কোনিওর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। কোনিওকে হত্যার আগ পর্যন্ত জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রীর নির্দেশনামতো কাজ করে তারা। কোনিওকে প্রথম গুলি করে মাসুদ রানা। সেটি কোনিওর গলায় লাগে। পরে সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল কোনিওর বুকে ও হাতে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান কোনিও। তদন্তে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় মাসুদ রানার জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হয়। আইনজীবী আরও জানান, তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার হয়েছে। দুই সাক্ষী ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষের ঘোষণা দিয়েছে। সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেছেন বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগারে থাকা আসামি জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে নগরীর মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে রিকশায় করে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ঘাসের খামারে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ৬৬ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও।

সর্বশেষ খবর