শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সাগরে ডুবে যাওয়া মহাদেশ জিলান্ডিয়া

প্রতিদিন ডেস্ক

পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আছে বলেই আমরা জানি। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, সাতটি নয়, আরও একটি মহাদেশ আছে। তবে তা সমুদ্রের নিচে হারিয়ে গেছে। আর এই মহাদেশ লুকিয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের ঠিক নিচে। এর নাম জিলান্ডিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কুক, এটি আসলে জিলান্ডিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়া।

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে পানিতে তলিয়ে যাওয়া এই মহাদেশ জিলান্ডিয়া নেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ড+ইন্ডিয়া থেকে। আকারে নাকি  এটি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সমান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড আসলে এই মহাদেশের জেগে থাকা অংশ। বলা যেতে পারে এই মহাদেশের পবর্তচূড়া। গবেষকরা এখন চেষ্টা করছেন তাদের এই নবআবিষ্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে। ‘জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা’য় প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘জিলান্ডিয়া’র আয়তন ৫০ লাখ বর্গ কিলোমিটার, যা পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই তৃতীয়াংশের সমান।

কিন্তু এই মহাদেশের প্রায় ৯৪ শতাংশই তলিয়ে আছে সাগরের পানিতে। মাত্র অল্প কিছু অঞ্চল পানির ওপর মাথা তুলে আছে : নিউজিল্যান্ডের নর্থ এবং সাউথ আইল্যান্ড এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া। একটি মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিলান্ডিয়া তার সবকটিই পূরণ করেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

যেমন— আশপাশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে উঁচু হতে হবে, সুুস্পষ্ট কিছু ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকতে হবে, সমুদ্র তলদেশের চেয়েও পুরু ভূস্তর থাকতে হবে।

প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক নিউজিল্যান্ডের ভূতত্ত্ববিদ নিক মর্টিমার বলেন, জিলান্ডিয়াকে কেন মহাদেশ বলা যাবে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা প্রায় গত ২০ বছর ধরে চালানো গবেষণায়। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মহাদেশের তালিকায় আরেকটি নাম যুক্ত করাটাই কেবল তাদের লক্ষ্য নয়, এর একটা বিরাট বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য রয়েছে। আর তা হলো"একটি মহাদেশ যে সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পরও তা অখণ্ড থাকতে পারে, তা সাহায্য করবে এটা বুঝতে কীভাবে পৃথিবীর উপরিভাগের স্তর ভেঙে মহাদেশগুলো তৈরি হয়েছিল তা বুঝতে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর