মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ছোট ছোট ঝুপড়িতে কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও তা টিকছে না ঝড়ো হাওয়ার আঘাতে। কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইছে কক্সবাজারে। এ ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ও ঝুপড়ির ছাউনি। বিশেষ করে খোলা পাহাড়ি এলাকা ও পাহাড়চূড়ায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন। ফলে আশ্রিত মানুষগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সপ্তাহখানেক আগে থেকে উখিয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে প্রায় প্রতিদিন। সোমবার বিকালে ও রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন ক্যাম্পে হাজারের অধিক পলিথিনের ছাউনি উড়ে গেছে। সঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারণে ঝুপড়ির মেঝেগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে কিছু কিছু এনজিও এসব ক্ষতিগ্রস্ত ঝুপড়ি সংস্কারের জন্য পলিথিনসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করলেও অনেকেই কামলা সংকটের কারণে তা এখনো মেরামত করতে পারেননি। আবার অনেকের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুপড়িগুলো সংস্কারের সামর্থ্যও নেই। বিশেষ করে পুরুষ না থাকা রোহিঙ্গা পরিবারগুলো চরম বেকায়দায় রয়েছে বলে জানা যায়। বালুখালী ক্যাম্পের হেড মাঝি আবু তাহের জানান, সোমবার মধ্যরাতে ক্যাম্পের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় পাহাড়ের ওপরে যেসব ঝুপড়ি ছিল তা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এসব পরিবার পাশের ঝুপড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিভিন্ন এনজিও ক্ষতিগ্রস্ত ঝুপড়িগুলো পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য সহায়তা করছে। এ সময় অসংখ্য পরিবারে চুলা জ্বলেনি। এতে অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপন করতে হয়েছে অনেককে। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি এড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান জানান, পাহাড়ের ওপরে-ঢালুতে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ঝুপড়ি রয়েছে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বসতি তৈরি করার শুরুতেই এখানে গাছ-গাছালি কেটে ফেলেছে। পরে গাছের শিকড়গুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপড়ে ফেলার কারণে মাটির গুণগতমান বা ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। যে কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে